পার্বত্য বিষয়ক
•   দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরে এসেছে। পর্যটকদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দার্জিলিং-এ পর্যটন শিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে।

•   গত ১৫ মার্চ, ২০১২-তে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিধি, ২০১১ লাগু হয়েছে, ২৯ জুলাই, ২০১২-তে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং ১৪ অগাস্ট, ২০১২-তে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সভা ( জিটিএ) গঠিত হয়েছে।

•   জিটিএ-র চিফ একজিকিউটিভ, ডেপুটি চিফ একজিকিউটিভ, চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং একজিকিউটিভ মেম্বার স্থির হয়েছে।

•   ২০১২-২০১৩-য় গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে ৬৫ কোটি টাকার অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সহায়তা বরাদ্দ করা হয়েছে ।

•   গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ-এর হাতে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৪টি বিভাগ তুলে দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিটির সংক্ষিপ্তসার মুদ্রিত হয়েছে।

•   স্কুলশিক্ষা দপ্তর এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জিটিএ-র আওতাভুক্ত এলাকায় যথাক্রমে স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং কলেজ সার্ভিস কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

•   দার্জিলিং জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মে ২০১১ থেকে এখনও পর্যন্ত ৭০০০-এরও বেশি পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬৫০০ জন সিভিক ভল্যান্টিয়ার, ৮০ জন এস আই এবং ৩৪০ জন পুরুষ এবং ২২৬ জন মহিলা কনস্টেবল।

•   দার্জিলিং-এর পাহাড়ি এলাকার উন্নয়নের জন্য জিটিএ-কে ২০১১-২০১২ আর্থিক বর্ষে পরিকল্পনা খাতে ৬৩.৬৯ কোটি এবং পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে ২৪৪.১৮ কোটি টাকা, ২০১২-২০১৩ আর্থিক বর্ষে পরিকল্পনা খাতে ১৯৪.১১ কোটি এবং পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে ৩৫১.২৮ কোটি টাকা, ২০১৩-২০১৪ আর্থিক বর্ষে পরিকল্পনা খাতে ২৪৩.৬৭ কোটি এবং পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে ৪০৩ .০৮ কোটি টাকা, ২০১৪-২০১৫ আর্থিক বর্ষে এখনও পর্যন্ত পরিকল্পনা খাতে ৩১.৮৩ কোটি এবং পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে ৪০৫.৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

•   রাজ্য পরিকল্পনায় গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-কে যে তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে, তাতে যোগাযোগ, শিক্ষা, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণ, সেচ ও জলপথ, মৎস্য, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ, পর্যটন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ, ক্ষুদ্রসেচ, জনস্বাস্থ্য কারিগরি প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।

•   বিশেষ কেন্দ্রীয় সহায়তা সেক্টর-এর অধীনে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এলাকায় বেশ কিছু বড় প্রকল্প যথা ব্লক, মহকুমা ও জেলা সদরের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগ স্থাপনকারী রাস্তা নির্মাণ ও সারাই, গ্রামীণ বৈদ্যুতিকীকরণ ও কমিউনিটি হল-এর উন্নয়ন, নদীর পাড় ও ঝরণাগুলির সংরক্ষণের কাজ, গ্রামের ও শহরাঞ্চলে জল সরবরাহে উন্নয়ন, জেলা হাসপাতাল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নউওন, মিরিক লেকের উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ট্যুরিস্ট লজের মেরামতি ও উন্নয়ন প্রভৃতির কাজ শুরু হয়েছে।

•   আরআইডিএফ-এর অধীনে বিভিন্ন প্রকল্প যেমন গ্রামীণ রাস্তার নির্মাণ, ক্ষুদ্র সেচ, নতুন স্কুল বাড়ি নির্মাণ বা পুরোনো স্কুল বাড়ির পুনর্গঠন, সেতু নির্মাণ প্রভৃতির মত সামাজিক ক্ষেত্রের প্রকল্পগুলির কাজ শুরু হয়েছে।